নিজস্ব প্রতিনিধি।।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, মানুষ আর পশুর বাস তো একসাথে হবে, এটাতো সম্ভব না। দুর্যোগের সময় কিভাবে এই দুটি বিষয় আলাদা করা যায় সেটি দেখার আশ্বাস দেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩ টায় জেলা প্রশাসনের শহিদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা -কর্মচারীদে সাথে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খানু সরেজমিনে মাঠকর্মীদের কাছ থেকে জানতে এসেছেন। ফিল্ড লেভেলের কথা শোনা, রোহিঙ্গাদের কার্যক্রম বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করা। কক্সবাজারের পর্যটন এলাকার মানুষকে যে কোন মূল্যে দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা দরকার। সেন্টমার্টিনের মানুষকে দুর্যোগের সময় রক্ষা করার জন্য আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.কামরুল হাসান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার দুর্যোগ প্রবণ এলাকা হওয়ায় সর্বপ্রথম মাননীয় মন্ত্রী কক্সবাজারে আসা আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। এছাড়াও তিনি ঘটিত নানা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি হামুনের গাছপালা,ঘরবাড়ির ক্ষতির চিত্রটি মৌখিকভাবে তুলে ধরেন।
এসময় তিনি পাহাড় ধ্বস এবং পাহাড় কাটার কথাও উল্লেখ করে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের কথা বলেন তিনি। দুর্যোগের সময় মানুষজনকে শেল্টারে আনার জন্য যোগাযোগ ভেহিকল সাপোর্ট বৃদ্ধির কথা বলেন। তিনি বিশেষভাবে দুর্যোগের সময় সেন্টমার্টিনের মানুষের বাঁচার জন্য সেখানে সাইক্লোন শেল্টার স্থাপনের কথা বলেন। এছাড়াও স্কুল বেইজড সাইক্লোন শেল্টারে বেঞ্চ বা অন্যান্য সামগ্রী থাকায় দুর্যোগকালীন সময়ে এসব শেল্টার প্রস্তুতকল্পে নানা অসুবিধার কথা উল্লেখ করেন।
সভায় দুর্যোগকালীন সময়ে ফিল্ড লেভেল থেকে নানানমুখী চ্যালেঞ্জের কথা উঠে আসে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পরিবহন সংকট, যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহালদশা এবং অধিকাংশ সাইক্লোন শেল্টার আধুনিকায়ন না হওয়ায় মানুষ আসতে চায় না। এছাড়াও শেল্টারগুলো মানুষের জন্য থাকার পরিবেশ ও বসবাসযোগ্যভাবে তৈরি করার কথাও বলেন। বিদ্যুৎ, সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মানুষকে শেল্টারমুখী করা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ে। এছাড়াও আকস্মিক বন্যায় নৌকার ক্রাইসিসের কথা উল্লেখ করেন।
ত্রান, দুর্যোগ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, কক্সবাজার ২৮ লক্ষ তার সাথে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গারা প্রতিটি মানুষই দুর্যোগ সৃষ্টি করছে ও দুর্যোগ কবলিত। এসবের জন্য মন্ত্রীর সশরীরে কার্যক্রম দেখতে আসার জন্য সাধুবাদ জানান তিনি।
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, গাছ কাটার করাত, যন্ত্রপাতি, ভেহিকল,সংকটের জন্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র পাঠানোর জন্য লিখে দিয়েছি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ৯টি উপজেলার পিআইও,উপজেলা প্রকৌশলী,সিপিপি কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এডিসি ইয়ামিন হোসেন, বিভীষণ কান্তি।
পাঠকের মতামত