নিজস্ব প্রতিনিধি।
সারা দেশের মত কক্সবাজারেও জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যা থেকে পরদিন আধাবেলা পর্যন্ত থাকছে প্রচন্ড শীতের দাপট। ঘন কুয়াশা ঝড়ছে টিপ টিপ করে।
হাড় কাঁপানো শীতে শুধু জনজীবন নয়, নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে কাজের যোগানও। ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। কিন্তু, শীতের কষ্টের চেয়েও পেটের ক্ষুধার কষ্ট বেশি হয়ে দেখা দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। এই কনকনে শীতেও পেটের তাগিদে কাজে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা,পত্রিকার হকার,পরিচ্ছন্নতাকর্মী,রিকশাচালক সহ দিনমজুরের যেন শীতের কথা ভাবার কোন উপায়ই নেই। কাঁপতে কাঁপতেই তারা বেরিয়ে পড়ছেন নিজ নিজ কাজে।
ভোরবেলা শহরের মানুষ বিক্রির হাট নামে পরিচিত গুনগাছতলা মোড়ে গিয়ে দেখা মেলে বেশ ক’জন শ্রমিকের। মাঘের এই তীব্র শীতেও তারা তাদের কাজের সরঞ্জাম নিয়ে জড়ো হয়েছেন কাজের আশায়।
এমনই একজন শ্রমিক মানিক মিয়া জানান, শীতের তীব্রতায় কাজের পরিমান কমে গেছে অনেক। আগে ভোরবেলাতেই কাজে যেতে পারলেও এখন সেই উপায় নেই। তাই পেট চালানোর চিন্তায় ভোর হতেই ছুটে আসেন এই হাটে। তিনি বলেন, খাওন তো খেতে হবে, শীতে মরার আগে কি ক্ষুধায় মরবো নাকি? একদিকে শীত অন্যদিকে ক্ষুধা তারা কোনদিকে যাবে? এমন প্রশ্ন তার।
তিনি আরো জানান, তারা প্রায় ১৭০-১৮০ জন দিনমজুর এখানে থাকলেও এখনো প্রশাসন বা ব্যক্তি উদ্যোগে তাদের শীতের কম্বল কিংবা সোয়েটার দিয়ে সাহায্য করা হয়নি।
হাওয়া দফতর বলছে, আরো কিছুদিন থাকবে এই শৈত্যপ্রবাহ, সেইসাথে হতে পারে বৃষ্টিও। এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ও কাজের আকালে তাই প্রশাসনের কাছে সাহায্য প্রত্যাশী এই খেটে খাওয়া মানুষেরা।
পাঠকের মতামত