এইচ.কে রফিক উদ্দিন:-
বৃষ্টিশূন্য শীতের মৃদু রোদের ছায়ায় ফুটে আছে বিল জুড়ে শাপলা। মাছকারিয়া বিলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা ও গহীন বৃত্তান্ত কেবল কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলাবাসীই মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। বিলটির দিকে তাকালে একদিকে সবুজ-সোনালি ধান অন্যদিকে শাপলা আর পানির ঢেউ চোখে পড়ে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন রঙের মেলা ।সকালে মুক্ত আকাশের নিচে শাপলা ফুলের মেলা।
বিলের এমন মনোরম পরিবেশ দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরন্ত থেকে অনেক ভ্রমণপ্রেমী বেড়াতে আসেন। শাপলাফুলের সৌন্দর্য তাদের স্বাগত জানায়। মাছকারিয়া বিলে প্রতিবছরের মতো এবারও শাপলা ফুটেছে। এরই মাধ্যমে কিছু মানুষের মৌসুমী কর্মসংস্থান চাঙা হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে উখিয়া উপজেলার সুনাম। ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতিতে নৌকার কদর বেড়েছে।
শাপলা ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা গাজীপুরের বাসিন্দা (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত) সোনিয়া আহমেদ বলেন, উখিয়ার মাছকারিয়া বিল অসাধারণ। না দেখলে বিশ্বাস হয় না। ফুল ফুটে আছে, শাপলাপাতার উপরে পানি টলমল করছে। ছোট ছোট পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে।
পানিতে ভাসমান শাপলাপাতার মধ্যদিয়ে ছোট ডিঙ্গি নৌকা চলছে। চারদিকের শাপলাফুল যেন দর্শনার্থীকে স্বাগত জানাচ্ছে। তবে খারাপ লাগে, যখন দর্শনার্থীরা বেশি বেশি করে শাপলাফুল তুলে নষ্ট করে।
জানা যায়,এবছর প্রকৃতিপ্রেমীরা মাছকারিয়া বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসার কারণে নৌকার মাঝি হয়ে কর্মসংস্হান হয়েছে অত্রগ্রামের অনেকেরই।
অপরদিকে মাছের ভান্ডার ঐতিহ্যবাহী মাছকারিয়া তথা শাপলা বিল। সারা বছর জাল, পোলো নিয়ে মাছ ধরতে নামেন অনেকেই। চারদিকে তখন উৎসবের আনন্দ বয়ে যায়।
মাছকারিয়া বিলের শাপলা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে পানির উপর বাঁশের সাকো তৈরি করে দেওয়া দিদার মিয়া নামের এক যুবক প্রতিবেদক’কে বলেন,পর্যটন একটি সম্ভাবনাময় খাত।যেহেতু মাছকারিয়া বিল পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। তাই পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনকে পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
পাঠকের মতামত