ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৩ ৬:৪৩ পিএম

 

শহিদুল ইসলাম।।
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ি এলাকার পাশে দালাল চক্রের আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ রাখা ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৩৩ জন শিশু সহ ৫৭ জন রোহিঙ্গা এবং ১ জন বাংলাদেশী নাগরিক সহ মোট ৫৮ জন উদ্ধার।

এ সময় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মানব পাচারকারী চক্রের ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান মো. ইয়াছিন(২৩)সহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত অপর তিনজন হলেন-টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দরগারছড়া জলু সওদাগরের ছেলে মো. জুবায়ের (৩৫) একই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর লম্বরীর বাদশা মিয়ার ছেলে নাজির হোছন (৬১) ও নোয়াখালী বেগমগঞ্জের ৯নং ওয়ার্ডের তাজুল ইসলামের ছেলে রামিমুল ইসলাম রাদীদ (৩১)।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা পাহাড়ি এলাকার পাশে মানব পাচার চক্রের আস্তানা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওসমান গনি।

ওসি বলেন,একটি মানব পাচারকারী চক্র উখিয়া- টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের আস্তানায় নিয়ে এসে মজুদ রাখেন।

এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা পাহাড়ি এলাকার একটি আস্তানা থেকে নারী-পুরুষ ও শিশু ৫৭ জন রোহিঙ্গা ও একজন বাংলাদেশী নাগরিক সহ মোট ৫৮ জনকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় মানব পাচারে জড়িত দালাল চক্রে মুল হুতা সদর ইউনিয়নের মানব পাচারের ইয়াসিন বাহিনীর প্রধান মো. ইয়াসিন সহ মোট ৪জন কে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি আরও বলেন,মানব পাচারকারী দালালরা এসব ভিকটিমদের আর্থ- সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবন-যাপন ও অধিক বেতনে চাকুরী ও অবিবাহিত নারীদেরকে বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা আশ্রয়ে নিয়ে যৌন নিপীড়ন, প্রতারণামূলক বিবাহ ও জবরদস্তিমূলক শ্রমসেবায় লিপ্ত করায়।এমন উদ্দেশ্য দালাল চক্র তাদের আস্তানায় ৪/৫ দিন পাচারের উদ্দেশ্য আটক রাখেন।

এবং পরবর্তীতে পাচারকারীরা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের যোগসাজশে মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনিশিয়া ভিকটিমদের কাছে পাচার করেন।

এবং এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।এবং উদ্ধার ভিকটিমদের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হবে বলে ওসি জানায়।

উদ্ধার ভিকটিম উখিয়ার থাইংখালি ক্যাম্প-১৩ মো. সৈয়দ বলেন,মানব পাচারকারী দালালদের প্রলোভনে পড়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ক্যাম্প থেকে বের করা হয়।

পরে সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকায় দালালদের বসত ঘরে রাখেন।পরে ওই গ্রামের পাহাড়ি এলাকার পাশে নিয়ে যায়।

এভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি এলাকার পাশে একটি বসত ঘরে আমাদের আটক রাখেন।দালাল চক্র আমাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

 

পাঠকের মতামত

ভেসে আসলো বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ২ মৃতদেহ, মস্তকবিহীন মিলল আরেক মৃতদেহ

           টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার ...

সেন্টমার্টিন চ্যানেলে ট্রলার ডুবি, দুই উদ্ধারকারীসহ এখনও নিখোঁজ তিন

           আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার) কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনদ্বীপ যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের শাহপরীরদ্বীপ গোলারচরের মোহনায় এফবি ...