নিজস্ব প্রতিবেদক::
“আমার গ্রাম, আমার দায়িত্ব- শিশুর জীবন হোক বাল্যবিয়ে মুক্ত” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ‘আমিই পারি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে’ প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কক্সবাজারের রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি পাড়ার ন্যায় গুচ্ছ গ্রামকেও বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকেলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ উখিয়া এরিয়া অফিসের সহযোগিতায় ও সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড) এর বাস্তবায়নে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ, ভিডিসি, শিশু ও যুব ফোরামের আয়োজনে গুচ্ছ গ্রামে বাল্যবিবাহ মুক্ত গ্রাম ঘোষণা উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য উখিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসাইন।
রাজাপালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো. শাহাজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ , গুচ্ছপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সভানেত্রী দিলোয়ারা বেগম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুর মুহাম্মদ প্রমূখ।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ জাতির জন্য একটি অভিশাপ, বাল্যবিবাহের ফলে শিশু ও মায়েদের অপুষ্টি দেখা দেয়। শিশুদের সুন্দর একটি ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যায়। খয়রাতী পাড়া গ্রামের পাশাপাশি আজ গুচ্ছগ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে। শুধু এ দু’টি গ্রাম নয়, আগামী দিনে উপজেলার সবগুলো গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করার জন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমরা চাই উখিয়া হোক বাল্যবিবাহ মুক্ত একটি উপজেলা।
আসুন আমরা সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় জনগনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যহত রাখি যাতে গ্রামগুলোতে আর বাল্যবিবাহ না হয়। এই বিশেষ কার্যক্রমের জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশনকে সাধুবাদ জানিয়ে উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও বাল্যবিবাহ বন্ধে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শেড উখিয়া এরিয়া প্রোগ্রামের ম্যানেজার আবুল কালাম।
এর আগে উক্ত গ্রামে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্পর্কে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, লিফলেট বিতরণ, পথ নাটক, উঠান বৈঠক ও বাল্য বিবাহের ঝুঁকিতে থাকা কিশোর- কিশোরীদের নিয়ে বিভিন্ন ভাবে কাজ করেছেন। তাদের কার্যক্রমের ফলে বিগত এক বছর ধরে গ্রামটিতে কোন বাল্যবিবাহ সংগঠিত হয়নি।
উল্লেখ্য, ২৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) রাজাপালং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের খয়রাতি পাড়া গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
পাঠকের মতামত