উৎপাদনে রয়েছে মাত্র ১টি ইউনিট!
পানির অভাবে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন সর্বনিন্মে
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
কাপ্তাই হ্রদ শুকিয়ে যাওয়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্ম পর্যায়ে পৌঁছেছে । খরা ও প্রচন্ড তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিটের মধ্যে পানির অভাবে বর্তমানে মাত্র ১টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
হ্রদে পানি কমে যাওয়ার ফলে শুধু মাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, তা নয়। কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্ভরশীল বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ব্যবসা- বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া হ্রদের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি উপজেলার সাথে নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
রবিবার (২১ মে) কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও মারাত্বক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পানির অভাবে কেন্দ্রের সব ক’টি ইউনিট সচল থাকা সত্ত্বেও উৎপাদন চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ম পর্যায় ঠেকেছে। তিনি জানান, কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রয়েছে। এই ইউনিট থেকে দৈনিক মাত্র ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত প্রকৌশলী জানান, রবিবার (২১ মে) সকাল ১০ টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে রুলকার্ভ অনুযায়ী পানির পরিমান ৭৮ দশমিক ২০ ফিট এমএসএল (মীন সী লেভেল) থাকার কথা। কিন্তু পানি আছে ৭৩ দশমিক ৬২ ফিট এমএসএল। প্রসঙ্গত, কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারন ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। হ্রদে পানি ৬৬ এমএসএলের নিচে নেমে গেল তাকে বিপদসীমা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত না হলে এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় বলে ওই প্রকৌশলী জানান।
পাঠকের মতামত