কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী সহ ২৮ জনকে শীর্ষ
সন্ত্রাসী উল্লেখ করতে ধরিয়ে দিতে বার্মিজ ভাষায় পোস্টার লাগানো হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীর বিভিন্ন ক্যাম্পে এ ধরনের পোস্টার দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা। তবে পোস্টারটি কারা লাগিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পোস্টারটি দেখা যাচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন ৮-আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর।
তিনি জানান, পোস্টার বিভিন্ন ক্যাম্পে দেওয়া হয়েছে সেটা সঠিক। তবে তা এপিবিএন প্রকাশ করেনি। পোস্টারে থাকা ব্যক্তিরা কোন মামলার আসামি হলে
তাদের যে কোনভাবে গ্রেপ্তার করা হবে।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, দুপুরের দিকে ২৮ জন রোহিঙ্গা চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে
পোস্টার সাটাই করার বিষয়টি পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাতে যে কোন সময় পোস্টারগুলো বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাটানো হয়েছে। তবে কারা- এই পোস্টারগুলো সাটাই করেছে পুলিশ তা নিশ্চিত নয়।
” পোস্টারে ধরিয়ে দিতে নাম থাকা ২৮ জনই চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। ”
পোস্টার সাটাই করার বিষয়টি পুলিশের কাছে মুখ্য নয়, পোস্টারে ছবিসহ নাম থাকা প্রত্যেকেই যেহেতু অপরাধী এবং মামলা রয়েছে; তাই তাদের সন্ধান পাওয়ামাত্রই গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেনে বলে জানান এপিবিএন এর সহকারি পুলিশ সুপার।
পোস্টারে থাকা ২৮ জনের মধ্যে ২৫ জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরা হলেন, আরকান রোহিঙ্গা স্যালভ্যাশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী, হেদায়েত উল্লাহ ওরফে খালেদ, মৌলভী মোস্তাক, মৌলভী লাল মোহাম্মদ
ওরফে বোরহান, নুর কামাল ওরফে সমি উদ্দিন, ইব্রাহীম, মৌলভী জাকারিয়া, কাউসার ওরফে সাবের, খায়রুল আমিন ওরফে ইব্রাহীম, আলী জোহর, হাফেজ ইউনূছ, সানাউল্লাহ, জুলাইয়ার, শফিক, নুর মাহমুদ, হাফেজ নুর মোহাম্মদ, আব্দুর রহমান, হাসান, জাহিদ হোসেন ওরফে লালু, মাস্টার আব্দুর রহিম, জান্নাত
উল্লাহ, মোহাম্মদ সলিম, মাহামুদুর রহমান, মোহাম্মদ জুবাইয়ের, মোহাম্মদ
আলম ওরফে মুসা।
বালুখালী ক্যাম্পে-৮ এর মাঝি মোহাম্মদ খলিল জানিয়েছেন, পোস্টারে বার্মিজ ভাষায় লেখা হয়েছে ‘তারা সন্ত্রাসী। এ মানুষগুলোকে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান। যদি কোনো ক্যাম্পে কেউ তাদের দেখতে পায় তাহলে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার জন্য বলা হলো। পোস্টারে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সঙ্গে অনেকের ফ্যামিলি কাউন্টিন নম্বরও দেওয়া
হয়েছে।’
মোহাম্মদ খলিল বলেন, ‘তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে ক্যাম্পে শান্তি ফিরবে। আমরাও চেষ্টা করছি তাদের ধরিয়ে দিতে। ক্যাম্পের অর্ধেক অপরাধ এদের
নিয়ন্ত্রণে চলে। বিভিন্ন সময় অস্ত্র ও সন্ত্রাসী মহড়াতেও তাদের দেখেছি।’
পাঠকের মতামত