ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৬/০৪/২০২৫ ১০:০১ অপরাহ্ণ
উখিয়ায় এনজিওর ওয়্যার হাউস থেকে ২ ডাম্পার কাঠ জব্দ
oplus_0

 

শহিদুল ইসলাম।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের হাকিমপাড়ান ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিও সংস্থা সাওয়াব কতৃক সামাজিক বনায়নের কর্তনকৃত আনুমানিক ৩০০ গনফুট কাঠ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর ওয়্যার হাউস থেকে উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে উপজেলা পালংখালী ইউনিয়ন ১৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে এসব কাঠ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহিনুর রহমান। তিনি জানান, ক্যাম্পের কাটাতারের ভেতর থেকে সামাজিক বনায়নের দুই ডাম্পার গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। যাচাই বাছাই করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প সূত্রে জনা গেছে, উপজেলার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সামাজিক বনায়নের শত শত গাছকর্তন করে সওয়াব নামের একটি এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে বাধাগ্রস্ত করতে নতুন করে পালিয়ে ১২২টিরও অধিক শেল্টার নির্মাণ করে। সংস্থাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাঞ্চালের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

উদ্ধারকৃত গাছগুলো সাওয়াব নামক একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এর মাধ্যমে দাতা সংস্থা “আইওএম” এর ওয়্যার হাউসে জমা রাখা হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এ খবরে সরগরম হলে বনবিভাগের একটি দল এসব কাঠ উদ্ধার করে। উক্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে সামাজিক বনায়নের বিপুল পরিমাণ গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। গাছ গুলো জব্দ করে বনবিভাগের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যেখান সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করতে তোড়জোড় চালাচ্ছে, সেখানে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাওয়াব নামক একটি এনজিও সংস্থা নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য শেল্টার নির্মাণ করা রহস্য জনক ও প্রত্যাবাসন বিরোধী কার্যক্রম বলে মনে হচ্ছে। নির্মাণাধীন এসব ঘর উপড়ে ফেলে, নতুন করে বনায়ন সৃষ্টি না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৪ নম্বর আশ্রয়শিবিরের কাটাতারের সাথে লাগোয়া ১২২টির অধিক শেড নির্মাণ করা হয়েছে নতুন করে। যা ২০০৮ সালের সৃজিত বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের জায়গা জলধার ছিল। উক্ত জলাধার ভরাট করে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কাজ করছে ‘সাওয়াব নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)’। নতুন করে তৈরি রোহিঙ্গা পল্লীটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমেনা ভিলেজ’।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য বেশ কিছু শেড নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণের কাজ পেয়েছে ‘সাওয়াব’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। যদি বনায়নের গাছকর্তন ও জলধার ভরাট করা হয়ে তাকে তদন্তপূর্বক সংস্থাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থানগ্রহণ করা হবে। স্থানীয় বাংলাদেশিদের লিখত অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত রয়েছি।
######

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত-৩

উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত-৩

উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা কক্সবাজারের উখিয়ায় মিনি ট্রাক- মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী ...
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন সিডার প্রতিনিধিদল

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন সিডার প্রতিনিধিদল

  উখিয়া(কক্সবাজার) সংবাদদাতা কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করলেন সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (সিডা) ...

টেকনাফে মার্টি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় এক রোহিঙ্গা  জেলে নিহত

উখিয়া-টেকনাফ প্রতিনিধি। কক্সবাজারের-টেকনাফ হাইওয়ে সড়কে মার্টি বোঝাই  ডাম্পার গাড়ির ধাক্কায় মাছ ধরতে যাওয়া এক রোহিঙ্গা ...
টেকনাফে যৌথ অভিযানে উদ্ধারকৃত সাড়ে৪৫কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস

টেকনাফে যৌথ অভিযানে উদ্ধারকৃত সাড়ে৪৫কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস

  আব্দুস সালাম,টেকনাফ টেকনাফে সাড়ে ৪৫কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে কোস্টগার্ড।এসময় যৌথ বাহিনীর১২টি অভিযানে এসব ...