
আব্দুস সালাম, টেকনাফ :
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, আত্মস্বীকৃত মাদক কারবারি, জুবাইর হত্যা মামলার প্রধান আসামি, টমটম চালক ফয়েজ হত্যার আসামি, বিএনপির নেতা ছিদ্দিকের দুই হাত কর্তনকারী হত্যা চেষ্টার মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি এনামুল হক এনামের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনগণ ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
রবিবার বেলা তিনটার দিকে টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান,গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও পুলিশের একটি দল ৩৯ মামলার আসামি ও বিভিন্ন হত্যা মামলার প্রধান আসামি, ১০২জন মাদক কারবারীর আত্মসমর্পণকারী ,ফুটবলার জুবাইর হত্যা ও বিএনপি নেতা ছিদ্দিকের হাতের কব্জি কর্তনকারী, টমটম চালক ফয়েজ হত্যার আসামি অভিযুক্ত প্রধান আসামি ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নম্বর ওযার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে টেকনাফ ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ৩৯টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১০টি মামলায় হত্যা, অস্ত্র, মারামারি, পুলিশ ও র্যাবের উপর হামলাসহ ১০ মামলায় পলাতক ছিলেন। তাকে আটক করায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও থানা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভূক্তভোগী পরিবারগুলো।
মানববন্ধন থেকে এনামের ফাঁসির দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন বা ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। মানববন্ধনে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভুক্তভোগীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন -টেকনাফ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি (দুই হাত বিচ্ছিন্ন) ছিদ্দিক আহমদ, ফুটবলার জুবাইরের মা মাবিয়া খাতুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা রবিউল আলম, ইয়াসমিন আক্তার, সদর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফরিদ আলম,নিহত জুবাইরের চাচা শামসুল আলম প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ৩৯ মামলার এই আসামির পাশাপাশি তার প্রধান সহযোগী আফসারসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। বিজ্ঞ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিবারগুলো বলেন, এই সন্ত্রাসী এনামকে জামিন না দিয়ে কারাগারে রাখার আহ্বান জানান। সে জামিন নিয়ে বাহিরে থাকলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয় সেজন্য কারাগারে রেখে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদেব দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তার কারণে অর্ধশতাধিক পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
পাঠকের মতামত