প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সকালে ভারতের নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সেখানে তাঁর সফরের সময় বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু প্রধান এজেন্ডা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আজ বাসসকে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট আজ সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন। করোনাভাইরাস মহামারী প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৯ সালে তার সর্বশেষ সফরের পর আজ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার এবারের ভারত সফরের সময় বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটির দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান অভ্যর্থনা জানাবেন।
শেখ হাসিনার সম্মানে বিমানবন্দরে তাঁকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেয়া হবে। এ সময় সেখানে ৬-৭ সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নৃত্য পরিবেশন করবে এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে ৬ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করার কথা রয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পরে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হবে।
হায়দ্রাবাদ হাউসে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার পরিদর্শন করবেন।
শেখ হাসিনা পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তাঁর সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
আজ দিল্লী পৌঁছানোর পর তাঁর রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনখারের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একই দিনে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার দেখা করার কথা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করবেন এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী ৭ সেপ্টেম্বর তাঁর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাত করবেন।
আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানিরও আজই শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ, আজমির (আজমির শরীফ দরগাহ) এবং ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরের প্রথম দিনে আজ দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ পরিদর্শন করবেন।
প্রকাশিত:
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ৬:১৩ এএম
, আপডেট:
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ৬:৩১ এএম
পাঠকের মতামত