
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আর মাত্র এক কদিন বাকি। শেষ পর্যায়ে জমে উঠেছে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশুর হাট। তবে, রোহিঙ্গা ক্রেতাদের ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতারা। কিন্তু গরু-মহিষ বেশি বিক্রি হওয়া লাভবান হচ্ছেন ইজারাদার’রা।
শুক্রবার (৮ জুলাই) উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কোরবানি পশুর হাট বাজার গুলো পরিদর্শন করে জানা গেছে এমন তথ্য। স্থানীয়দের চেয়ে তুলনামূলক রোহিঙ্গা ক্রেতারা ভীড় করছেন।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এবার রোহিঙ্গাদের জন্য ৪০ হাজার গরু বরাদ্দ থাকলেও এপিবিএন এর চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাজার হাজার গরু-মহিষ ঢুকতেছে।
এদিকে, হাট-বাজারের ক্রেতা বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি হয়ে মায়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু এবং মহিষ আসার কারণে স্থানীয়রা গরু-মহিষ এর চাহিদা মতো দাম পাচ্ছেন না।
তবে, হাট বাজার সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, উখিয়া ডিগ্রি কলেজ এর সেনাবাহিনী চেকপোস্ট না থাকার কারণ গত বছর ন্যায় এই বছর কোরবানি পশু বেশি বিক্রি হচ্ছে না।
গত কয়েকদিন ধরে থাইংখালী ও মরা গাছতলা পশুর হাটবাজার এর প্রভাবশালী ইজারাদার’রা বৈধতা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেন। পরে, দুইটি বাজারই জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের ভিত্তিতে অস্থায়ী বৈধতা পেয়েছে।
কুতুপালং টিভি টাওয়ার সংলগ্ন পশুর হাটবাজার সংশ্লিষ্ট একজন বলেন , উখিয়া ডিগ্রি কলেজ এর সামনে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট না থাকার কারণে গত বছরের ন্যায় এই বছর বেচাকেনা একটু কম হচ্ছে। তবে, ক্রেতার সংখ্যা স্থানীয়দের চেয়ে রোহিঙ্গা বেশি।
স্থানীয় আব্দু সালাম নামের একজন গরু ব্যবসায়ী বলেন, এই মাত্র যে, মহিষটি বিক্রি করলাম। এটার দাম হাঁকিয়েছিলাম- ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। শেষ পর্যন্ত ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে মহিষটি বিক্রি করলাম একজন রোহিঙ্গা কে।
দিল মাহমুদ নামের একজন বলেন, আমি গরু কিনতে আসছি। কিন্তু দাম কষাকষির সে রকম কোন সুযোগ পাচ্ছি না। গরু একটু মোটাতাজা ও সুন্দর হলেই রোহিঙ্গারা বেশিক্ষণ দরকষাকষি না করে তাদের পছন্দের পশুটি সহজেই কিনে পেলেন।
রোহিঙ্গা জুবায়ের বলেন, টিভি টাওয়ার গরু বাজার থেকে নিজেদের টাকায় মহিষ টি কিনেছি-১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে। কোন সংস্থার টাকায় কিন্তু আমরা গরু মহিষ কিনছি না। মহিষ-গরু নিয়ে ক্যাম্পে প্রবেশ করার কোন সুযোগ আছে কি না? প্রতি উত্তর, মাগরিবের আগেই আমাদের ক্যাম্পে প্রবেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এপিবিএন পুলিশ।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন জানান, বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক আরআরআরসি’র অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতি ক্যাম্পের জন্য কোরবানির পশু রোহিঙ্গাদের দেয়া হয়েছে।সেগুলো ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে কোরবানি হবে। সেগুলো ক্যাম্পে প্রবেশ করানোর অনুমতি আছে।
পাঠকের মতামত