
কাপ্তাই প্রতিনিধি:
কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কাপ্তাই উপজেলা বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিজ উদ্যোগে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
শনিবার (১৮ জুন) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে দ্রুত চলে আসতে নির্দেশ দিয়েছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, ইতিমধ্যে কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে প্রচারনা ও মাইকিং করা হয়েছে। শনিবার বিকালের মধ্যে না এলে প্রয়োজনে তাদেরকে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।
কাপ্তাই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরে যেতে নিকটস্থ ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সেগুলো হলো কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াগ্গা মুরালীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, চিৎমরম ইউপি কার্যালয়, রাইখালী কারিগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়নগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং চন্দ্রঘোনা ইউপি কার্যালয়।
এদিকে, কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাদের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনিহা দেখা যাচ্ছে। অনেকে জানান, বেশি বৃষ্টি হলে আশ্রয় কেন্দ্র যাবো। এখন গিয়ে কী হবে?
কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছে প্রায় শত শত পরিবার। গত শুক্রবার থেকে টানা বর্ষণ চলছে। শনিবারও সারাদিন থেমে থেমে ভারী বর্ষন চলছে।
এছাড়া রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ জুন কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে ১৮ জনের প্রাণহানী ঘটে এবং ব্যাপক সম্পদের ক্ষতি সাধিত হয়।
পাঠকের মতামত