পলাশ বড়ুয়া:
২৫৬৬ বুদ্ধবর্ষ পরেও বুদ্ধ জ্ঞানের আলো জ্বলছে। পুজা-বন্দনা হচ্ছে বিশ্ব জুড়ে। যিনি পরাক্রমশালী বীর হয়েও বিনা তরবারিতে, শুধুমাত্র মৈত্রী পরায়ণ হয়ে বিশ্ব জয় করেছেন।
যিনি গৃহত্যাগের পর ৬ বৎসর কঠোর সাধনার পর বৈশাখী পূণিমা তিথিতে বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্যে গয়ার এক অশ্বত্থ বৃক্ষতলে বসে মারকে পরাজয়ের মাধ্যমে রাগ, দ্বেষ, মোহকে সমূলে বিনাশ করে সম্যক জ্ঞান প্রাপ্ত হন।
পরে বিশ্ব কল্যাণে ৪৫ বৎসর সদ্ধর্মের বাণী প্রচার করে কুশীনারায় জোড়া শাল বৃক্ষের নিচে একই তিথিতে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন।
এর আগে ৬২৩ খ্রি: পূর্বে বর্তমান নেপালের লুম্বীনি কাননে জন্ম গ্রহণ করেন। মহাপুরুষের আগমণে ওই সময় পুরো পৃথিবী প্রকম্পিত হয়েছিল। সাত পদক্ষেপে সাতটি পদ্মফুলে দণ্ডায়মান হয়ে বলেছিলেন এটা আমার অন্তিম জন্ম। বলেছিল অগ্র এবং শ্রেষ্ঠত্বের কথা।
একজন রাজপুত্র হয়েও রাজপ্রাসাদ ছেড়ে পুরো পৃথিবীকে বিছানা করেছিল সিদ্ধার্থ গৌতম।
অন্তিম জন্মে ৮০ বছরের মানব জীবনে জাত প্রথা তথা বর্ণ বৈষম্যকে ছেদ করে মানবজাতির উদ্দেশ্যে বলেছিল “নিজেকে জানো”। “আপন আলোয় আলোকিত হও”।
যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ২৫৬৬ বৎসর পরেও বুদ্ধ জ্ঞানের চর্চা চলছে। পুজা, বন্দনা, গৌরব প্রদর্শন হচ্ছে পুরো বিশ্ব জুড়ে।
ত্রিপিটক থেকে স্বয়ং বুদ্ধ প্রতিষ্ঠিত সংঘ এই কথা গুলো বলেছেন। অর্থাৎ মহান বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ১৫ মে উখিয়ায় সদ্ধর্ম দেশনাকালে শ্রীমৎ কুশলায়ন মহাথেরসহ প্রমূখ ভিক্ষুসংঘ এসব কথা বলেছেন।
পাঠকের মতামত