
এইচকে রফিক উদ্দিন:
রোহিঙ্গা শিবিরের বর্জ্য ও মলমূত্রের কারণে কুতুপালং এলাকার কৃষকের আবাদি জমি নষ্ট হয়ে চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বিগত চার বছর ধরে অনাবাদি হয়ে পড়েছে শত শত একর কৃষি জমি। এতে স্থানীয় কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
উখিয়ার বৃহত্তর মাছকারিয়া বিলের সীমান্তে কুতুপালং এলাকায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাসস্থান।
তাতে সহজেই ক্যাম্পের সকল প্রকার বর্জ্য নিমিষেই মাছকারিয়া বিলের শেষাংশে কুতুপালং এলাকার যে অংশ গুলো রয়েছে,সেখানে কৃষকের আবাদি জমিতে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে,কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হয়ে যে কিছু ড্রেন রয়েছে তা কুতুপালং বিলে এসে মিলিত হয়েছে। ড্রেন জুড়ে মলমূত্র, প্লাস্টিকের বোতল, অপচনশীল ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। মূলত রোহিঙ্গা শিবিরের এসব ময়লা-আবর্জনা ও মানববর্জ্য সরাসরি ড্রেনে ফেলা হয়।
ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, বিগত দিনে দফায় দফায় মৌখিক ও লিখিতভাবে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।ফলে বৃষ্টি নামলে পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে এসব বর্জ্যে ভরপুর হবে আমাদের কৃষি ভুমি।তাতেই চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ার আশংকায় কৃষকেরা।
কৃষক আব্দুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে আমাদের কৃষি জমিতে বর্জ্য ফেলার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলন হচ্ছে না।বর্জ্যের কারণে কিছু জমিতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে ইতিমধ্যে কৃষকদের আর্থিকভাবে কষ্ট পেতে হচ্ছে।
আলি আহমেদ নামের আরেক কৃষক বলেন,কৃষি জমিতে রোহিঙ্গাদের বর্জ্য পরিষ্কার বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়া ও বর্জ্যের বিষাক্ত পানিতে অনুর্বর হয়ে পড়াসহ কৃষকদের দুর্ভোগ বাড়ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন বলেন,কৃষকদের এই সমাস্যা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি।দফায় দফায় কৃষকদের দুর্ভোগ নিরসনে ক্যাম্প প্রশাসন ও এনজিও কর্মকর্তাদের অনেকবার অবহিত করার পরও কোন সাড়া মেলেনি।সোনার চেয়েও খাটি,কৃষি জমির মাটিকে বর্জ্য মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত