সিনহা হত্যা মামলার আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যাব
প্রকাশ: ২০২০-০৮-০৯ ০০:১২:৪৪ || আপডেট: ২০২০-০৮-০৯ ০০:১৬:১৮

সিএসবি২৪ ডেস্ক:
কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যাব-১৫।
শনিবার দুপুর ২ টার পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের ফটকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে র্যাব-১৫।
রোববার থেকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া তিন আসামি টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে র্যাবের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।
র্যাব কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, শনিবার দুপুর থেকে এ চারজনকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে আগামীকাল পর্যন্ত দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদের কাজ শেষ করা হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার ক্লু উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা হবে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেনও নিশ্চিত করেছেন সিনহা হত্যা মামলার চারজন আসামিকে প্রথমদিনের মতো দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম শুরু করেছে।
এছাড়া ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশপ্রাপ্ত তিনজন আসামিকে র্য্যাব হেফাজতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার তথ্যও জানান জেল সুপার।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশীর সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর গত ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্তদল গঠন করে।
গত বুধবার (৫ আগস্ট) নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ জুডিসিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে প্রধান ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।
পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার সাতজন আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এতে র্যাব আদালতে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং চার জন আসামিকে দুই দিন করে জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন।
এছাড়া অনুপস্থিত থাকা বাকি দুজন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।