উখিয়ায় বন বিভাগের জায়গার উপর নির্মিত গোডাউন উচ্ছেদের নামে নাটকীয়তা !
প্রকাশ: ২০২০-০৭-৩১ ১৯:১২:০৭ || আপডেট: ২০২০-০৭-৩১ ১৯:১৭:৪৫

জসিম আজাদ ॥
কক্সবাজারের উখিয়ায় বন বিভাগের জায়গার উপর অবৈধভাবে দখল করে গোডাউন নির্মাণ করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়েছে বন বিভাগের।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাজাপালং ইউনিয়নের আমগাছ তলা এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আবদুল হক মেম্বারের নির্মিত গোডাউন উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে গেলে বাধাঁর সম্মুখীন হয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয় বন বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উখিয়া রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক কাজী তারিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে গোডাউনের স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে প্রভাবশালীদের বাঁধার মুখে পিছু হটেছে।
এদিকে উখিয়ার রাজপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হকের নিয়ন্ত্রণে আরো বেশ কয়েকটি গোডাউন রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উখিয়ার সদর বিট কর্মকর্তা বজলুল রশিদকে মাসোহারা দিয়ে আবদুল হক এসব গোডাউন নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল হক উচ্ছেদে বাঁধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আসলে এসব স্থাপনা আমার নয়।
উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা বজরুল রশিদ বলেন, স্থাপনা আংশিক উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু’র প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপের মুখে পুরো স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধভাবে সরকারি বন বিভাগের জায়গা দখল করে রাজাপালং ইউনিয়নের আমগাছ তলা গিয়ে দেখা অবৈধভাবে নির্মাণাধীন স্থাপনাটিতে উচ্ছেদের কোন দৃশ্য দেখা যায়নি। বরঞ্চ স্থাপনা নির্মাণের প্রবেশ পথটি টিনের ঘেরা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তারা প্রভাবশালী এ জনপ্রতিনিধির সাথে যোগসাজসে গোডাউন নির্মাণ কাজ আরো গতিশীল করার জন্য চারপাশে টিনের ঘেরা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এখানে কোন ধরণের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
সূত্রে আরো জানা গেছে, উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হক সরকারি বন বিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে এনজিও সংস্থাকে ভাড়া দেওয়ার জন্য একের পর এক গোডাউন নির্মাণ করে যাচ্ছে। যার ফলে দিন দিন বেহাত হয়ে যাচ্ছে সরকারি বন সম্পদ। এতে জীব বৈচিত্র্যের পাশাপাশি পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংকা করেছে পরিবেশবাদীরা।
এ ব্যাপারে উখিয়া সহকারী বন সংরক্ষক কাজী তারিকুর রহমান সকালে স্থাপনাটি আংশিক উচ্ছেদ করা হয়। বাকী অংশ ঈদের পরে করা হবে।