গরুর গাড়ী এখন শুধুই স্মৃতি
প্রকাশ: ২০১৫-১২-২৩ ১৬:৪১:৩০ || আপডেট: ২০১৫-১২-২৩ ১৬:৪১:৩০

আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার:
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য জনপ্রিয় গরুরগাড়ি এখন গরুরগাড়ী বিলুপ্তির পথেই নয়, এখন শুধুই স্মৃতি। মাঝে মধ্যে প্রত্যন্ত এলাকায় দু-একটি গরুর বা মহিষের গাড়ি চোখে পড়লেও শহরাঞ্চলে একেবারেই দেখা যায় না।
আধুনিক সভ্যতায় ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষের গাড়ি হারিয়ে যেতে বসেছে। কথাটা ভাবতেই অবাক লাগে। যে শহরের ছেলেমেয়েরা দূরের কথা, বর্তমানে সময়ে গ্রামের ছেলেমেয়েরাও গরু মহিষের গাড়ির শব্দটির সাথে পরিচিত নয়।
আবার অনেক শহুরে শিশু গরুরগাড়ি দেখলে বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করে গরুরগাড়ি সম্বন্ধে। যুগ যুগ ধরে এই গাড়ি দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিভিন্ন ভারী মালা মাল আনার-নেওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন হিসেবে পরিচিত ছিল।
বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্য, শিল্প কারখানার মালামাল ও বিয়ের পর নববধুকে নিয়ে যাতায়াত কাজে গরুরগাড়ির প্রচলন ছিল ব্যাপক। অনুমান করা হয়, খ্রীস্ট জন্মের ১৭০০ বছর আগেই সিন্ধু অববাহিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল, যা সেখান থেকে ক্রমে ক্রমে দক্ষিণেও ছড়িয়ে পড়ে। দুই যুগ আগেও গরুর গাড়িতে চড়ে বর-বধূ যেত। গরুরগাড়ি ছাড়া বিয়ে হতো না।
বিয়ে বাড়ি বা মাল পরিবহনে গরুরগাড়ি ছিল একমাত্র ভরসা। বর পক্ষের লোকজন বরযাত্রী ও ডুলিবিবিরা বিয়ের জন্যে ১০ থেকে ১২টি গরুর গাড়ির ছাউনি (টাপর) সাজিয়ে শশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ি আসা-যাওয়া করত। রাস্তাঘাটে গরুরগাড়ি থেকে পটকাও ফুটাত।
শুধু তাই নয়, যে সব পরিবারের গরুরগাড়ি ছিল, তাদের কদরের সীমা ছিল না। বতর্মান আমাদের দেশের আধুনিকতার ছোঁয়ায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভুলতে বসেছে এইসব এসব গাড়ি ও গরু মহিষের ইতিহাস।